নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে খাদ্যসঙ্কটে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আবার দুর্যোগকালীন এমন মুহূর্তে বৈরী আবহাওয়া ও শ্রমিক সঙ্কটে পাকা ধান কাটতে না পেরে আর্থিক তির হুমকিতে পড়েছেন দরিদ্র কৃষক।
এমন অবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষ ও দরিদ্র কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবুল ওরফে ভিপি বাবুল। বিনা পারিশ্রমিকে দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে দেয়ার পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন কৃষকলীগের এই নেতা।
জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে ময়মনসিংহের ১৩ টি উপজেলার দরিদ্র কৃষকের ধান কাটতে মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জেলা কৃষকলীগ। এই কর্মসূচির আওতায় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবুল দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কৃষকের জমির ধান কেটে মাড়াই করে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে গৌরীপুর, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন, ভালুকা উপজেলায় দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্যান্য উপজেলার কৃষকদের ধানও কাটা হবে।
শনিবার কৃষকলীগ নেতা বাবুল নেতা-কর্মীদের নিয়ে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডের কৃষক আব্দুল মালেকের সাড়ে ছয় কাঠা জমির ধান কেটে দেন। এরপর ওই ধান মাড়াই করে বাড়িতে পৌছে দেয়া হয়। কৃষক বলেন আব্দুল মালেক করোনাকালে শ্রমিক সঙ্কট ও বৈরী আবহাওয়ায় জমির ধান পাকা নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো। পেয়ে বাবুল ভাইয়ের নেতৃত্বে কৃষকলীগের নেতা-কর্মীরা বাড়িতে এসে আমার ধান কেটে দিয়েছে।
গৌরীপুরের শালীহর গ্রামের কৃষক আনিসুজ্জামান বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় আমার তিন বিঘা জমির ধান পাতা ঝরে ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো। পরে বাবুল ভাই ও তার দলের লোকজন ধান কেটে মাড়াই করে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে।
এদিকে জেলা কৃষকলীগ নেতা বাবুলের ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্নআয়ের পরিবারগুলোকে খাদ্যসহায়তা দেয়া শুরু করেছেন। শুক্রবার বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই কৃষকলীগ নেতা ঘুরে ঘুরে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ১হাজার ১শত ৫০টি পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। অপ্রত্যাশিত ভাবে খাদ্য সহায়তা পেয়ে অসহায় মানুষগুলোর মুখে হাসি ফুটে উঠে।
এর আগে ২১ এপ্রিল ময়মনসিংহ শহরে প্রায় চার শতাধিক নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন কৃষক লীগ নেতা বাবুল। জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবুল বলেন আমরা মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি। করোনা পরিস্থিতিতে দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে দেয়ার পাশাপাশি কর্মহীন মানুষকে ত্রাণ সহায়তাও দিচ্ছি। দুর্যোগকালে কৃষকের ধান যেনা নষ্ট না হয় ও মানুষও যেন খাদ্য সঙ্কটে না পড়ে আমরা সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।